তাজুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ায় দ্বৈত ব্যবসায়ীক কারবারে অহেদুল
কর্তৃক সনজিত (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশ করার হুমকি দেবার ঘটনা ঘটেছে।
প্রাণনাশের ভয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে সাহস পাচ্ছেন না তিনি। সনজিত বগুড়ার
সারিয়াকান্দি উপজেলার পৌর ০৫ নং ওর্য়াড সাহাপাড়া এলাকার মরহুম ননী গোপাল সাহার
পুত্র। সম্পদ উদ্ধার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা
চেয়েছেন তিনি।
ভীকটিমের জবানবন্দিতে জানা গেছে, দীর্ঘ চার বছর আগে বগুড়া শেরপুরের শেরুয়া বটতলা
এলাকায় ধান-চাল খুদের ব্যবসা আরম্ভ করেন সনজিত সাহা। এরপর ধরমোকাম এলাকার
ব্যবসায়ী অহেদুলের সাথে অংশীদারীত্বে আর্থিক লেনদেন করেন সনজিত। তারা যৌথভাবে
মহাস্থান মটরস থেকে অশোক লেল্যান্ড কোম্পানির ১৬/১৬ মডলের একটি ট্রাক ক্রয় করেন। তাদের
দুই জনের মধ্যে মন কোষাষির এক পর্যায়ে অহেদুলের কাছে সনজিত তার পাওনা টাকা দাবি
করলে সে অস্বীকার করেন এবং প্রমাণ হিসেবে অহেদুল কর্তৃক সনজিতকে দেওয়া অগ্রনী
ব্যাংকের সাদা চেক কৌশলে নিয়ে ছিড়ে ফেলেন। অপরদিকে অহেদুলের চাতালে সনজিত
কর্তৃক নির্মিত খুদ ভাঙ্গা মিলও নিজের বলে দাবী করেন অহেদুল। এদিকে সনজিতকে সু-
কৌশলে ডেকে নিয়ে তৃতীয় ব্যক্তির কাছে ট্রাকটি বিক্রি করতে চান অহেদুল। সনজিত
বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে সটকে আসেন এবং শেরপুর থানার দারস্থ হন।
তিনি আরও বলেন, আমি গাড়িটি বিক্রয় করতে দ্বীমত পোষণ করলে আমাকে ভয়ভীতি এবং
প্রাণনাশের হুমকি দেয় সে। এরপর থেকেই আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শেরপুর ভান্ডারে ভয়ে
যেতে পারিনা। অহেদুলের নিকট থেকে আমি প্রায় ৭২লক্ষ টাকা পাই, এই মর্মে গাড়ী ক্রয়
করার সময় সম্পুর্ণ অগ্রিম টাকা এবং বাকী কিস্তি বাবদ সম্পুর্ণ চেক অহেদুল প্রদান
করে, হিসাব অনুযায়ী গাড়ীর সম্পুর্ণ মালিক সনজিত হলেও অহেদুল টাকার প্রমাণ ছিড়ে
ফেলে এখন গাড়ী জোর পূর্বক বিক্রয় করে তার অর্ধেক টাকা বের করে নেওয়ার পায়তারা করছে।
এব্যাপারে শেরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও আমার সম্পদ উদ্ধার এবং আমাকে সঠিক
আইনী সহযোগীতা করতে ব্যর্থ হন প্রশাসন। ব্যবসায়ী ওহেদুলের সাথে কথা বললে তিনি
বলেন, সনজিত আমার কাছে কোন টাকা পায়না। গাড়ীর টাকা সর্ম্পুণ সে দেওয়ার কারণ
জানতে চাইলে অহেদুল বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)
বুলবুল আহম্মেদ অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার
চেষ্টা করছি।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে নিজের প্রাণ রক্ষা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ উদ্ধারে
সহযোগীতা চেয়েছেন সংখ্যালঘু ব্যাবসায়ী সনজিত সাহা।